ভাওয়াইয়া – গানের ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পালুংনা এলাও।

যেলা মানষি খানেক বিপদত পরে সেলা অনেক ক্ষেত্রত অনেকে দার্শনিক মনোভাবের হয়। মানষি ভেদাভেদ ভুলি যায়, মানবিকতা বোধও অনেক বেশী জাগি উঠে। আগত যেটি ভিখারীক 1 টাকা দিচে কিন্তুক মুখত মনত খিচখিচানী ভাব নিয়া, সেটি 1 টাকার জাগাত 5 টাকা এমনকি 10 টাকা দিয়াও মুখত মনত করুনার সুর জাগি উঠে।

তেমনি গান, বিশেষ করি ভাওয়াইয়া গান তথা ভাবের গান হৈলেক একধরনের টনিক। সাথত দোতরা থাকিলে তো আরো কথায় নাই। মনভুলানি টনিক, মনের বিষবেদনা ভুক্তি দেওয়া টনিক।

তোমরা যদি রাজনীতি করেন তালে তোমার বন্ধুর সাথত মেলা শত্রুও থাকিবে। তোমরা ব্যবসা করেন, তোমার ব্যবসায়ীক শত্রু থাকিবে। তোমরা অধ্যাপক- অধ্যাপিকা, তালে তোমার সহ অধ্যাপক – অধ্যাপিকা উপরাত ভাল্ ভাল্ কৈলেও ভিতরাত একটা প্রতিযোগিতা মনোভাব, যাতে হেড অফ দি ডিপার্টমেন্টের পদটা তোমার ভাগত না জোটে। তোমরা প্রোফেসনাল ভাওয়াইয়া শিল্পী, তাতেও তোমার বন্ধু ভাওয়াইয়া শিল্পীর মনত কষ্ট যাতে তোমার টিআরপি উমার থাকি বেশী নাহয়। তোমার সুরের ভিতরাত খুত ধরির প্রচেষ্টা।

কিন্তুক তোমরা যদি ভাওয়াইয়া শিল্পী নাহয়া সখতে ভাওয়াইয়া গান ধরেন তালে তোমার প্রতি মানষির ছোটোমোটো ক্ষোভ, তিক্ততা খানেক হৈলেও নিরাময় হয়া যায়।মানষি ভাবে ইমরা তো আমারে লোক। সাথত, হাতত দোতরা নিলে তো আরো কায় পায়?

এই য্যামন ভাষা নিয়া কাউকাষ্টাং, তোমার মতে ভাষার নাম এইটা হওয়া উচিত কিন্তুক তোমার উল্টাপাশে যায় আছে তোমাক গালি পারি ভূত করি থুবে যেদু তর্ক বিতর্কত মাতা গরম হয়। কৈবে “আইচ্চে হামার পন্ডিত ভাষাবিদ”, হাতি ঘোড়া গেইলেক তল মশা কয় কত জল; সমাধান খুঁজিবে না যাতে রবি ঠাকুরের গান খানের একটা মর্ম বোঝা যায়, “আয় তবে সহচরি হাতে হাত ধরি ধরি”। কিন্তুক দোতরা হাতত নিয়া সোসাল মিডিয়াত এখান পোস্ট দেও সৌগ ঠান্ডা, সেলা কিছু সমায়ের জন্যে সৌগ মনকালাকালি মাটিত মিশি যায় । চিটফান্ড বা ফিনানসিয়াল অপকর্মে অভিযুক্ত, মানষির কটুকথা। দোতরা ধরো – দেখো তোমার পোয়া বারো। মন্ত্রী মশাইয়ের উপরা মানষির ক্ষোভ, ভোটত ভাল্ ফল হৈল্ না – এটা কোনো সমস্যায় না; ভাওয়াইয়া তো আছে – মানষি খুশ।

তো এইনাকান করি ভাওয়াইয়া মানষির সুখ দুঃখের সাথী হয়া যুগ যুগ ধরি বাচি আছে। ভাওয়াইয়ার দুঃখ একটায়, কিছু মানষি ভাওয়াইয়ার ঘারত চরি নিজের শ্রীবৃদ্ধি করে কিন্তুক যে ভাষাত ভাওয়াইয়া গান শুনায় সেই ভাষাত গানের ভুমিকা আর নিজের ভুমিকা দিবার নৈজ্যা খায় বা সংকোচ বোধ করে, উমরা ভাবে মুই যেদু ভাওয়াইয়ার ভাষাত ভুমিকা দ্যাং মানষি হয়ত কিছুই বুঝিবে না কিন্তুক ভাওয়াইয়া গানখান ঠিক বুঝি যাইবে!! ভাওয়াইয়া গান করি রাজনীতিবিদ থাকি সুরকার, গীতীকার সগায় আগেবার চায় কিন্তুক ভাওয়াইয়ার যে ভাষা সেই ভাষাটাক কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি দিবার জন্যে কাংও আগায় না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.