পৃথক রাজ্য “উত্তরবঙ্গ” নামে কোনো যুক্তি আছে?

পৃথক রাজ্য সত্বা “উত্তরবঙ্গ রাজ্য” নাম নিয়ে আজকাল বেশ চর্চা হচ্ছে। কিন্ত সেটা এই সন্ধিক্ষণে কেন? স্বাধীনতার পর থেকে গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাভূমি সর্বদিক দিয়ে বন্চিত আর সব থেকে বন্চিত এখানকার রাজবংশী /কামতাভাষী ভূমিপূত্ররা।এতদিন পর্যন্ত এই ভূমির বাঙালী সম্প্রদায়কে আলাদা রাজ্য নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করতে দেখা যাইনি যাদের বেশীরভাগই দেশভাগের পর এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর এই ভূমিতে এসেছিল। আর উত্তরবঙ্গ নামের সেরকম কোনো ঐতিহাসিক গুরুত্ব বা প্রাধান্যই নেই। এই কামতা বা বৃহত্তর কোচবিহার এর বেশীরভাগ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা নয়।

এটা কী একধরনের রাজনৈতিক চক্রান্ত যা এখানকার ভূমিপূত্রদের পুরোনো রক্তঝরানো আন্দোলনকে স্তিমিত করার? এক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে কতিপয় কিছু মানুষ শুধু একটা নামকে রাজনীতির কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে পুরোনো সমস্ত আন্দোলনকে কোনঠাসা করার জন্য প্রস্তুত যাদের পায়ের তলার মাটিই শক্ত নয়।উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টে বাকীরা যাবে কেন বরং ওরাই কামতাপুরী বা বৃহত্তর কোচবিহার ফ্রন্টে আসুক। মাইনোরিটি লোকের মত কখনো প্রযোজ্য হয়না।15-20 আগে এখানকার ভূমিপূত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য তৎকালীন সরকার যখন যারপরনাই নিপীড়ন চালিয়েছিল পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তখন বাঙালিদের একাংশ খুব খুশি হয়েছিল যার বহিঃপ্রকাশ ভূমিপূত্র মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া।

উত্তরবঙ্গ নামে রাজ্যের কোনো সত্বাই হয় না। কারন ভূমিপূত্র আসামের কোচরাজবংশীও বন্চিত ওখানে। ওরাও পৃথক রাজ্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই নামে রাজ্যের সত্বা আসলে ভূমিপূত্র কোচরাজবংশী কে ভাগ করা আসাম থেকে আর তাদেরকে দূর্বল করে তাদের উপর ছড়ি ঘোরানো, যা ছলে বলে কৌশলে করে আসছে। কিছু স্বার্থপর লোভী ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি বিহীন কোচ রাজবংশী অবশ্য এই নামকেই সমর্থন করবে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য যা বাম আমলেও ছিল। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *