এটা একটা থাম্ব রুল যে যখনই দেখবেন কোনো নিশংস মৃত্যুর পরে কোনো এক রাজনৈতিক দলের কর্মীরা হাতে মোমবাতি নিয়ে পথে নামছে ঠিক তার পরে পরেই বিশেষ বুদ্ধি সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী মানুষের কিছু অংশ হাতে মোমবাতি আর মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌনমিছিল করছে রাজধানীর অলিন্দে আপনি বুঝে নিন ঐ নিশংস মৃত্যুর পিছনে কিছু একটা পরিকল্পিত ব্যাপার ছিল। এর পরে পরেই দেখতে পাবেন মোমবাতি মিছিল রাজধানী থেকে বিস্তারিত হয়েছে রাজ্যের কোণায় কোণায়।আপনি এটাও লক্ষ্য করতে পারবেন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল যখন মোমবাতি হাতে নিয়েছে তখন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও বা পিছিয়ে থাকে কেন। যথারীতি তারাও মোমবাতি হাতে নিয়ে পথে, শুধু পথে বললে চলবে না এনারা আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে নিপীড়িত পরিবারের সাহায্যের জন্য সরকারের কাছে বেশী দাবিদাওয়ার মিছিল চালাতে থাকে।
মোমবাতির শিখা ধীরে ধীরে তার আস্ফালন বাড়াতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে আগুনে পরিনত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। কিন্ত কার জন্য এই আস্ফালন? সত্যিই কি ঐ নিপীড়িত পরিবারের জন্য?আবার একদিকে দেখা যায় জবা, সন্ধ্যা, খুসবুদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেও তথাকথিত কোনো বুদ্ধিজীবির মুখে একটা শব্দও খুঁজে পাওয়া যায় না। এনারা কী সত্যি সত্যি মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য নাকি এনাদের মুখের বুলি তখনই ফোটে যখন ওনাদের কাছে সবুজ সংকেত আসে অনেকটা দম দেওয়া পুতুলের মত।
আরো একটা ব্যাপার হামেশাই দেখতে পারবেন রাজধানীতে কোনো অঘটন ঘটলে রাজধানী থেকে প্রায় 700 কিলোমিটার দূরের জেলা ও মহকুমা শহর এমনকি গ্রামে গ্রামে আপনারা মোমবাতির মিছিল দেখতে পাবেন অথচ বাড়ির পাশেই যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে অহরহ সেক্ষেত্রে কোনো হেলদোলই নেই, নেই কোনো প্রতিবাদ। অপরাধীর চরম শাস্তির আবেদন করাটাও কী অপরাধ?
View All Posts | আপনিও পোস্ট করুন | Advertise your Product or Service |
One reply on “বুদ্ধি বন্ধক রাখা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে।”
বুদ্ধিজীবিরা সত্যিই বোবা হয়ে থাকে।