কালীচন্দ্র লাহিড়ী:
জয়নাথ মুন্সী তাঁর “রাজোপাখ্যান” নামক কোচবিহারের ইতিহাস রচনা শুরু করেন মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণের মহামন্ত্রী কালীচন্দ্র লাহিড়ীর নির্দেশে। 1821 খ্রীষ্টাব্দে কালীচন্দ্র লাহিড়ী কোচবিহার রাজ্যের দেওয়ান নিযুক্ত হন, পরের বছরেই তাঁর পিতা মহামন্ত্রী রাধাকৃষ্ণ লাহিড়ীর বিদায়ের পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়। অনুমান করা হয় যে 1823 খ্রীষ্টাব্দে “রাজোপাখ্যান” রচনা শুরু হয়েছিল।
কাশীকান্ত শর্মা:
কাশীকান্ত শর্মার কয়েকখানি পুথি কোচবিহার সাহিত্যসভার সংস্কৃত পুথিতালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একটি পুথিতে রামায়ণ কিস্কিন্ধ্যাকান্ড অবধি রয়েছে। পুথিতে কোনো রচনাকাল বা ভণিতা নেই তবে পুথির উপর “শ্রী কাশীকান্ত শর্মার পুথি” কথাটি আর 1207 সন লেখা আছে। 1207 সন হল 1800 খ্রীষ্টাব্দ। কাশীকান্ত শর্মার নামে একটি সংক্ষিপ্ত ব্যকরণ পুথিও পাওয়া গেছে। এছাড়া আরো কিছু সংস্কৃত পুথি পাওয়া গেছে ওনার নামে। মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণের রাজসভার উল্লেখযোগ্য সভাসদ ছিলেন কাশীকান্ত শর্মা। ইনি 1838 খ্রীষ্টাব্দে দেওয়ানী আদালতের বিচারক ছিলেন। মহারাজা শিবেন্দ্রনারায়ণের সময়েও তাঁর বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল।
পন্ডিত মাধবানন্দ:
বিভিন্ন পুথির মধ্যে মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণের রাজসভায় অনেক সভাকবি ও সভাপন্ডিতের নাম পাওয়া যায় কিন্তু তাঁদের রচিত পুথিগুলির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের সাথে কোচবিহারের মার্জ হওয়ার পর এখানকার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর হস্তক্ষেপ কলিকাতা পরিচালিত প্রশাসকের হাতে চলে যায়। মোটামুটি 1950 সাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে লাইব্রেরী থেকে মুল্যবান পুথি কোনোরকম রেকর্ড না রেখে ব্যক্তিগত কাজে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেগুলি আর ফেরত দেয় নি এরকমও অভিযোগ পাওয়া যায়। কোচবিহারের নীলকুঠি সংলগ্ন পুরাতন লাইব্রেরীর অগ্নিসংযোগ কান্ডেরও হেতুসহ কোনোরকম রিপোর্ট সেইভাবে পাওয়া যাইনি।
নিচে পর্ব – ১ পড়ার জন্য ক্লিক করুন।
Reference: kochbiharer Rajdorobarer Sahityacharcha/ S. Roy
Related Posts
Download Book Linguistic Survey of India BY GA Grierson
কান্তেশ্বর রাজার রাজপুরী নির্মাণ / গোসানী মঙ্গল
কোচ – রাজবংশী -কামতাপুরী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অধিকার / বাংলা সংবাদমাধ্যমের ভুমিকা।