আগত (1870-80 সাল ধরো) কোচবিহারত একশরও বেশী প্রকারের ধান ছিল। ঐ ধানের প্রকারলা দুই ভাগত বিভক্ত, বিতরি বা আউষ বা আশু আর হেমতি বা আমন বা শালি ধান।

হেমতি ধানলা হৈল্ –
চন্দ্রভোগ, কাটারীভোগ, কেওয়াভোগ, বিন্নাফুলভোগ, তুলসীভোগ, বাউইভোগ, জগন্নাথভোগ, মহেশভোগ, দশভোগ, রুক্সিনীভোগ, রসুলভোগ, ক্ষিরসাভোগ, কুমারভোগ, বলরামভোগ, কৃষ্ণভোগ, লালভোগ, বাঙালভারী, হারপী, আচাইভোগ, চিনিশঙ্কর, ইন্দ্রসাইল, দ্বিচল, বুড়াবন্নী, হরিশঙ্কর, দ্বারিকাসাইল, কানাইবাসী, চিনিচক্রভোগ, গুন্ডুরিভোগ, দুধপাখারি, সুবর্ণযশোয়া, ছোট যশোয়া, বড় লাউয়া বা হাতিরদাঁত, ছোট লাউয়া, বড় যশোয়া, মানসিরা, দুধ কলম, ছোট গাজিয়া, বড় গাজিয়া, পানীসাইল, নারিকেলঝোপা, শ্যামরণ, ছোট ফুলপাকরি, বড় পানাতি, ছোট পানাতি, বড় ফুলপাকরি, কাঁতসাইল, খাঙ্গারমাও, ধলাবচী, লালবচী, কালবচী, ছোটঢেপা, বেঁত, হলদিজাম, রাঙ্গালদাড়ী, লোহাডাঙ্গা, বাসডাঙ্গা, ডাঙ্গবন্নী, ফুলগাজিয়া, বগাঝুল, শৈলঢেপা, সিঙ্গরা, জলঢেপা, ছোটচাপা, আমলা, চেমসি, পুরপি, জঙ্গিয়া, গোবা, আমঝুকি, বোয়াপাকুরি, অমলাকাসা, কেশববুচী, কাদবচী, জাপেবচী, গুন্জরিবচী, সেওরাজ, কাকুয়া, কচদনা, চিকিরাজবন্নী, আসন্নরা, তারাপাকরি, কালবন্নী, গোতোমাগুরী, মুরিয়াবচী, পয়রাযশোয়া, পুইয়া বচী, নারিয়াবচী, কালাধানী, ডাঙ্গারানী, ললিতভোগ, সাজানি।
বিতরি ধানলা হৈল্-
চাঁপাল, কাশিয়াগন্জের, পরসী, গাঠিয়াভুমরা, চেঙ্গভুমরা, মুরলীভুমরা,কালাখুকরি, ঘুসরি, নীলাজি, কাচানালী, বৈলবায়াসী, বিনিখোঙ্গরা, কালাভুমরা, ডাইকাসাইল, ধলকাচাই, ভালাই, খইরী, ধারিয়া, গড়িয়াধান্য, রাঙ্গানামী, বীরমান্দনী, ছাইতানভুমরা, হরিণ কাজলী, শৈলপনাই, চতুরণ, পপরভাজ, কিনন, বড়চাপলা, নোয়াসিদার।