কামতা কোচবিহার রাজ্যের ভুমিবিভাগ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তৈথ্য।

যে মানষি খাজনা দিয়া জমিনের ভোগ দখল করেন তাক কয় প্রজা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সূত্র হিসাবে সরকার দ্বারা যায় কোনো পরগনার মালিকানা স্বত্ব পায় তাক কয় জমিদার।ভুই এর অধিকারী যে দলিল বা পত্র দ্বারা নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্টকালের সমায়ের জন্যে প্রজাক জমি দান করিতেন তাক কয় পাট্টা। প্রজালা যার দ্বারা জমিদারের বা ভুমির অধিকারীর পাট্টার স্বত্ব কবুল করিচে তার নাম কবুলিয়ৎ। প্রজারটে হাতে খাজনা নিয়া তার প্রমান হিসাবে যে দলিল দেওয়া হৈত তাক কয় দাখিলা কোচবিহার রাজ্যত এক বছরের মোট খাজনার জন্যে যে দাখিলা দেওয়া হৈত তাক কয় সালিয়ানা। যে হিসাবের সাহায্যে সরকার বা জমিদার সরকারে টাকা দাখিল করা হৈত তাক কয় চালান। যে দলিলের সাহায্যে সম্পত্তি বেচি হৈত তাক কয় কবলা। যে দলিলের সাহায্যে কোন স্থাবর সম্পত্তি এককালত না বেচি কোনো নির্দিষ্ট সমায়ে বেচি হৈবে এইনাকান শর্ত লেখি দিলে তাক কয় কটকবলা। 

পাট্টা  – এটি পাট্টা দাতা আর গ্রহিতার নাম, জমিনের পরিমান, সীমানা হিসাবে খাজনা আর মেয়াদ, সন, তারিখ স্পষ্ট করি ল্যাখা থাকিত।

 
কবুলিয়ৎ – এটি পাট্টাত যা যা দরকার কুল্লায় থাকিত। 


দাখিলা – এটি থাকের নম্বর, তালুকার নাম, প্রজার নাম, স্বত্ব আর টাকার পরিমান, দাখিলা দাতার সই থাকিত। 


সালিয়ানা – এটি প্রজার নাম, জমিনের বিবরণ, গোটায় খাজনা ও জমিদার অথবা উযার আধিকারিকের সই থাকিত। 


চালান – ইয়ার ভিতরা থাকের আর তৌজির নম্বর, মহাল, পরগনা, তালুক, জোতদার বা জমিদারের নাম, খাজনার পরিমাণ, আর যার দ্বারা টাকা দেওয়া হৈত তার নাম থাকা জরুলি। 


কবলা – এটি যায় কিনিবে আর যায় বেচাইবে তার নাম, জমির বিবরণ মানে মহাল, পরগনা, তালুক, থাক, তৌজি, সীমানা সৌগ ল্যাখা থাকিত। বেচি হওয়া জমিনের পরিমান আর মূল্য, সন, তারিখ আর সাক্ষীর নাম ল্যাখা থাকিত। 


কটকবলা – এটি কবলার সৌগ বিবরণ থাকিত, সমায় সীমার ব্যাপারটাও ছিল। মেয়াদের শ্যাষত জমিনের সাথত কট দাতার কোনো স্বত্ব থাকেনা, কট গ্রহীতা স্বত্ব হয়া যাইত। 


চিঠা – যে বইওত প্রজার নাম, জমিনের সীমা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, জমিনের পরিমান আর প্রকারভেদ ল্যাখা থাকিত তাক চিঠা কয়। 


পৈঠা – যে বইওত তৌজির নম্বর, প্রজার নাম, জমিনের পরিমান আর প্রকারভেদ ল্যাখা থাকিত তাক পৈঠা বা দাগবিলি খতিয়ান কয়। 


তেরিজ – যে বইওত প্রজালার নানান জমিনের বিবরণ বিশেষভাবে ল্যাখা হৈত তাক তেরিজ বা একোয়াল খতিয়ান কয়। 


জমাবন্দী – যে বইওত প্রজালার নানান জমির পরিমাণ, জমার হার, খাজনার পরিমাণ ল্যাখা হৈত তাক কয় জমাবন্দী ।


তৌজি – যে বইওত সৌগ প্রজার ওয়াশীল বাকীর হিসাব বিস্তারিত ভাবে ল্যাখা থাকিত তাক কয় তৌজি। 


আমদানী আর ক্যাশ – যে বইওত জমিদারের আয় ও ব্যায়ের হিসাব থাকিত তাক কয় আমদানী আর ক্যাশ। 


#Information on Land Revenue in Kamta Coochbehar state, Patta, Kobla, Kotkobla, Saliana, Terij, Touji, Chitha, Poitha, Dakhila,

Reference: History of Cooch Behar

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *