আত্মজীবনী ল্যাখা খুব এখনা সোজা ব্যাপার নোমায় যেহেতু কোনো ব্যক্তি বা মানষির জীবনের দূর্বলতা বা ব্যর্থতাও তুলি ধরার ব্যাপার থাকে। সমালোচনা হৈবে বুঝি সগারে সামনত ব্যর্থতালাও পরকাশ করা খানেক হৈলেও চাপের ব্যাপার থাকে। খুব কম মানষি আছে যায় তার নিজের আত্মজীবনীত ব্যর্থতালাও পরকাশ করিছিল। মহান মানষিলার ব্যর্থতালা অবশ্য উমার জীবনের আসল কর্মকান্ডলা কম করে না। কিছু আত্মজীবনী আছে যেগুলাত উমার জীবনের খালি একটা দিক বা পেশাগত ব্যাপার স্যাপারলা পরকাশ করিছে, যেটি উমার দুর্বলতালা খুব এখনা ল্যাখে নাই। আইজকাল বেশীরভাগ আত্মজীবনী অবশ্য এই বিভাগত পরে।
মিশাইল ম্যান এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনীত কিন্তুক সৌগ বিষয়লা পরকাশ করিছিল উমরা।
লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র কাছত এপিজে আব্দুল কালাম একটা ম্যাজিকাল বা বিশেষ নাম বিশেষ করি গাবুর বা যুবা চেংরা চেংরিলারটে যায় যায় দ্যাশের জন্যে কিছু করির চায়। উমার আত্মজীবনীত বিজ্ঞান প্রযুক্তি বা গবেষণার বিষয়লা ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে কোনবেলা বা কোন সমায় ব্যর্থতা আসছিল সেইলাও পরকাশ করছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর আত্মজীবনী “মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ” (My Experiments with Truth) এর নাকান কালাম স্যারের আত্মজীবনী “উইংস অফ ফায়ার” (Wings of Fire) গাবুর মানষিলাক অনুপ্রেরণা যোগাইবে ভবিষ্যতে সাফল্য লাভ করিবার জন্যে।
এই বইখানত উমরা মিসাইল টেকনোলজির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়লা তুলি ধরিচেন আরো কেংকরি উমার মিশনত সাফল্য লাভ করিবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করিচেন। উমরা সৌগসমায় ধর্মনিরপেক্ষ থাকি শিয়ান মানষিলাক শ্রদ্ধা, শিক্ষকক আনুগত্য, সগাকে তার কর্তব্যের পত্তি অত্যন্ত আনুগত্য সহ দলগত ভাবে কাজ করির উৎসাহ.. এই ব্যাপারলাক গুরুত্ব দিচেন। নিজের জীবনতও উমরা অক্ষরে অক্ষরে এইলায় পালন করিচেন।
উমার আত্মজীবনীর বিষয় বস্তুলাক মূলত তিনভাগে ভাগ করা যাবার পায়।
1. বিজ্ঞানী হওয়ার আগত জীবনের পোথ্থোম ভাগ।
2. বিজ্ঞানী আরো ডিআরডিও প্রধান হিসাবে উমার ভুমিকা। একজন সাধারন সহকারী বিজ্ঞানী থাকি ডিআরডিওর প্রধান হিসাবে উমার উথ্বান এই ভাগত আলোকপাত করা হৈচে।
3. অবসর গ্রহণের পরের জীবন। অবসরের পর ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান “ভারত রত্ন” পাওয়া তার ভারতের রাষ্ট্রপতি পদত অধীন (2002-2007) থাকা এই ভাগত তুলি ধরা হৈচে।
উমার উবজন হয় ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সমূদ্র উপকূলীয় জাগা রামেশ্বরমত । খুবে সাধারন পরিবারত উমার উবজন হয়। উমার বাপ আছিলেন নৌকার মালিক আর মাছ ধরা ছিল পেশা। স্কুল বয়স থাকি উমরা ছিলেন শান্ত স্বভাবের, জীবন যাত্রাও ছিল খুবে সাধারন। ছোটোবেলাত নিজের পড়াশুনা চালেবার জন্যে ছোটোখাটো কামাই করি উপার্জন করিতেন।
সারাজীবন ধরি একজন সৎ, বিশ্বস্ত, অনুগত, গোঁড়া অথচ ধর্মনিরপেক্ষ মানষি হওয়ার কারণও ছিল। সাধারণ গোঁড়া মোচরমান পরিবারত জন্ম হওয়ার জন্যে ইসলাম বিশ্বাস বা রীতিনীতি অনুসরণ করা সত্ত্বেও হিন্দু ধর্মের পত্তি উমার গভীর শ্রদ্ধা ছিল। যেহেতু রামেশ্বরম একটা হিন্দু তীর্থস্থান হিসাবে সুপরিচিত ছিল ঐ ছোটো থাকি হিন্দু আচার ব্যবহারের সাথত পরিচিতি হয়া গেচিল। উমার শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই হিন্দু ব্রাহ্মণ আর খ্রীষ্টান ছিল সেইটারও প্রভাব আছে বুলি উমরা মনে করেন। বিজ্ঞানী আব্দুল কালাম খুবে পরিশ্রমী আর কষ্টসহিষ্ণু ছিলেন, 81 বছর বয়সতেও উমরা দৈনিক 14 ঘন্টা করি কাজ করিচেন। দল পরিচালনার জন্যে দুর্দান্ত লিডারও ছিলেন বা ভাল্ কমান্ড ছিল উমারটে। উমরা কর্ণাটক সঙ্গীতের প্রেমিক ছিলেন আর বীনা বাদ্যযন্ত্র যেটা শেখা খুবে কঠিন বিষয় সেইটাও উমার বাজানো শিখিছিলেন আর মাঝে মধ্যে কাজের ফাকত বা অবসর সময়ত বীনা বাজাইতেন। কোরান বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থাকি উমরা উদ্ধৃতি দিতেন। ডঃ কালাম স্যার কবিতাও লেখিতেন, তামিল ভাষাত উমরা মেলা কবিতাও লেখিচেন।
পোথ্থোমে রামেশ্বরম তারপর রামানাথপুরম, ত্রিচি আর মাদ্রাজের এম আই টি ত উমার শিক্ষার বিবরণী বইখানত পরকাশ করা হৈচে। বইখানত আরো বর্ননা করা হৈচে যে কেংকরি বিমান বাহিনীত একটা ছোট্ট চাকরী মিস করছিলেন আর কারিগরী বিকাশ ও উৎপাদন দপ্তরত চাকরী পাইছিলেন।
উমার আত্মজীবনীত পরের ভাগগুলাত যা ল্যাখা আছে সেইলা ইতিহাস হয়া আছে।
ডঃ কালাম উমার দুই জুনিয়রক নিয়া পোথ্থোম নন্দী (শিব ঠাকুরের বাহন) নামে একটা মডেল হোবার এয়ারক্রাফ্ট বানাইছিলেন, সেলা থাকিয়ায় উমার প্রযুক্তিগত বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হৈচিল। ঐ সমায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন ডঃ ভি কে কৃষ্ণ মেনন। নন্দী মডেলের পরে উমাক নাসাত ছয় মাসের জন্যে ট্রেনিংত পাঠানো হৈচিল যা ছিল উমার জীবনের পথ পরিবর্তনের পোথ্থোম ধাপ।
ডঃ আব্দুল কালামের তত্ত্বাবধানত কিছু মহাকাশ মিশন তুলি ধরা হৈল্।
V. 1 – নাসা থাকি ফিরি আইসার পর 1991 সালের 21 এ নভেম্বর পোথ্থোম রকেট লন্চ হৈচিল। নাইক আপাচি নামে একটা সুপার রকেট ছিল এইটা যা নাসাত তৈরী হৈচিল।
V. 2 – মাত্র 32 কেজি ওজনের প্রোপালসন মোটর দিয়া তৈরী রোহিনী রকেট যা 10 মিনিটের মধ্যে 7 কেজি ওজনের পেডলোড উত্তোলন করা হৈচিল।
V. 3 – ডঃ বিক্রম সাসারাভাই (ডাইরেক্টর) পরিকল্পনা করেন যে ভারতের নিজস্ব উপগ্রহ পাঠানোর কাজ করা খাইবে। পরে চেন্নাইয়ের শ্রী হরিকোটাত রকেট লন্চ যান তৈরীর কাজ শুরু হয়। 1979 সালের 10 আগষ্ট এস এল ভি – 3 এর পোথ্থোম পরীক্ষামূলক ট্রায়াল শুরু হয়। পোথ্থোম পর্যায়ত সাফল্য লাভ করিলেও দুতিয়া পর্যায়ত কন্ট্রোলের বায়রাত চলি যায় । শ্রী হরিকোটা থাকি 500 কিমি দূরত সমূদ্রের মাঝত রকেটটা ধ্বংস হয়।
ইঙ্গিত হিসাবে, ডঃ কালাম তার আত্মজীবনীত মিশনত ব্যর্থতা এবং তার পরিবারে করুণ ক্ষতির কথা উল্লেখ করিচেন। উমরা উমার কেরিয়ারত তিনটা বড় ব্যর্থতা উমার বইয়ত তালিকাভুক্ত করিচেন। পোথোমটা ছিল উমার হোভারক্রাফট প্রকল্পের মৃত্যু (নন্দী), দুই নম্বরটা ছিল সার্টো প্রকল্প (রকেট অ্যাসিস্টড টেক-অফ সিস্টেম) এর তল্লাশী এবং তৃতীয়টা এসএলভি 3 এর ভাঙি পড়া।
পারিবারিক বিষয়ে উমরা উমার বাপ মাও আর বড় ভাইয়ের মৃত্যুর কথা লিপিবদ্ধ করিচেন, এরপর উমাক পুরা পরিবারের ভার নেওয়া খাইচিল, বিশেষ করি তার ভাইয়ের ছোট বেটি। পোথ্থোমে, খালি ব্যর্থতালা তুলি ধরেন। তারপরে কেংকরি নয়া স্বপ্নলা অনুসরণ করছিলেন এবং সাফল্যের জন্যে পদক্ষেপ করছিলেন সেইটা হৈল্ উমার আত্মজীবনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোনো রাখঢাক ছাড়াই পাঠকের সাথত ভাগ করি নিচেন যাতে গাবুর চেংরা চেংরিলা অনুসরণ করে আর সম্ভাব্য ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। “একটা গঠনমূলক পদ্ধতিত স্বপন দেখা শুরু করেন” এই ছিল ডঃ কালামের মন্ত্র যা হাজার হাজার গাবুর চেংরা চেংরি উমার জীবনত অনুসরণ করি উপকৃত হৈচিল।
ডাঃ কালামের বিনয় ও সরলতা উমাক যে কোনো সাফল্যের জন্যে বিশেষ ভূমিকা রাখে, আগের ব্যর্থতার পুরা দায় উমরা মানি নিচিলেন, এদি ফির সাফল্যও উমরা সগারে সাথত ভাগ করি নিচিলেন। একজন ম্যানেজারের বা দলপতির গুন সগারে অনুসরণ করা উচিত জীবনত সাফল্য লাভ করির গেইলে।
এসএলভি 3 লঞ্চ করা উমার জীবনের পোথ্থোম গুরুত্বপূর্ণ দিন হৈলে, আইজিএমডিপি (ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) এর উদ্বোধনের দিন উমার জীবনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে বিবেচনা করা হৈচিল।
উমার বিভিন্ন প্রকল্পের নামগুলা হৈল্
1) পৃথ্বী (আর্থ) যা সারফেস থাকি সারফেসের অপারেশন সিস্টেমক উপস্থাপন করে।
2) ত্রিশুল (ভগবান শিবের ত্রিশূল) কৌশলগত বাহনকে উপস্থাপন করছিলেন।
3) আকাশ (আকাশ) উপরিভাগ থেকে বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উপস্থাপন করে।
4) নাগ (কোবরা) অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের প্রতিনিধিত্ব করছিল।
5) এ.জি.এন.আই. (ফায়ার) ব্যক্তিগতভাবে ডঃ কালাম কর্তৃক নির্বাচিত আরএক্সের দীর্ঘ নাম।
আত্মজীবনীত ডাঃ কালাম সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করছিলেন যে কেংকরি উমরা উপরার পাঁচটা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পাঁচজন বিজ্ঞানীক বাছি নিচিলেন যায় উমাক সাহায্য করিবে। ডাঃ কালাম 5 দক্ষ বিজ্ঞানীক দায়িত্ব অর্পণ করি আরো অনেক কাজ করছিলেন। যদিও উমার বাছাই প্রক্রিয়া তার চারপাশের কিছু মানষির কৌতুহল ছিল তবে মিশনের সাফল্যত উমরা শ্যাষ পর্যন্ত প্রমাণ করি দেখাইচেন।
অগ্নি যানটি চালুর পোথ্থোম প্রচেষ্টা 20.4.1989 এ স্থির হৈচিল। তবে শ্যাষ মুহুর্তত প্রযুক্তিগত টানাপোড়েনের জন্যে এটা প্রত্যাহার করা হৈচিল।
দ্বিতীয়বার ছিল 1 লা মে, 1989, দশ দিনের কঠোর পরিশ্রম ছিল। তবে এবারও, প্রযুক্তিগত কারণে প্রোগ্রামটি স্থগিত করা হৈচিল।
শ্যাষত, 1989 সালের 22 মে লঞ্চ সফল হৈচিল আর এইটা ‘উইংস অফ ফায়ার’-এর নাকান দোনেপাকে সোনালি শিখা নিয়া আকাশের উপরা উঠিচিল। এইদিন রাতিত ডঃ কালাম এখান কবিতাও ল্যাখেন নিজের ডাইরিত।
সুতরাং “উইংস অফ ফায়ার” হৈল একজন দেশপ্রেমিক ভারতীয়ের আত্মজীবনী, যা একমাত্র সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করছিলেন যায় খালি উৎস্বর্গ ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে উন্নীত হন। তাঁর লক্ষ্য ছিল মহাকাশ গবেষণাত ভারতক স্বনির্ভর করা আর নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং দল চেতনা দিয়ে এইটা অর্জন করা।
Related Posts
Why Is Durgapur Important For News Agencies?
India Today – The Most Widely Read Weekly News Magazine in India!
Interior Home Design