উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রের অপকর্ম এবং ভূমিপুত্রের প্রতিবাদ। Uttarbanga Sambad against Bhumiputra

VSarkar

uttarbanga sambad

সারমর্ম

“উত্তরবঙ্গ সংবাদ” উত্তরের আত্মা হওয়ার অছিলায় উত্তরের মাটির সন্তান তথা বৃহত্তর ভূমিপুত্রের সাথে বরাবরই অবজ্ঞার সম্পর্ক বহাল রেখেছে, সুযোগ বুঝে ব্যবহার করেছে, তাদের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিতে চেয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে। অথচ, সেই মৃত্তিকাসংলগ্ন মানুষেরাই তার বড় বাজার। কখনো অতি সক্রিয় আবার কখনো অন্ধ থেকে তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্যকে সফল করার কাজে আজও নিয়োজিত এই সংবাদপত্র। কিন্তু, ভূমিপুত্র এবার জেগে উঠেছে, গর্জন করছে, তীব্র প্রতিবাদী ভাষা এখন তাদেরও আয়ত্তে।

পরিতোষ কার্যী 

“উত্তরবঙ্গ সংবাদ” পত্রিকাটি উত্তরবঙ্গে যে পাঠকদের দয়ায় তার শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে, ফুলেফেঁপে উঠেছে, শরীরে মেদ জমেছে, আশ্চর্যজনকভাবে উত্তরের সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠী তথা এতদঞ্চলের ভূমিপুত্রের সংবাদ-বিশেষ করে তাদের সুসংবাদ তারা চোখে দেখতে পান না। অথচ এখানকার আদি জাতি-জনজাতির কারো যদি অসৎ বা সম্ভাব্য অসৎ কর্মের গন্ধ পান, তখন সারমেয়র নাসিকা-প্রাপ্তি ঘটে তাদের। গুতিয়ে-গাতিয়ে সেটাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যায়, সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের সংবাদদাতা যেন চাক্ষুষ দেখে ফেলেছেন সেই ঘটনা। বেছে বেছে এই সংবাদ পত্র আমাদের অত্যাচারের খবর, নৃশংস খুনের খবর, ধর্ষণের খবর জানতে পারেন না। জবা রায়, সন্ধ্যা রায় বিনয় বর্মনের ঘটনা জানতে পারেন না। অথচ আমাদের গর্ব স্বপ্না বর্মনের অহেতুক অভিযোগের খবর নাকের ভিতর দিয়া তাদের মরমে পশিয়া যায়। ফলাও করে খবর করে।

শুধু আজ নয়, এই সংবাদপত্র দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম করে চলেছে,, অথচ সেই মানুষগুলোর জন্যই তাদের পেটে দুটো দানা যায়। এই সংবাদপত্র উত্তরের কাদের আত্মীয়, আজ না বললেও সকলে বুঝতে পারছি আমরা। তবু উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্র কেন এই অন্যায়টা দিনের পর দিন নিসঙ্কোচে করে যেতে পারছে? কারণ, তারা বুঝে গেছে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠী রাজবংশী /কামতাপুরীদের গায়ে চামড়া মোটা, পেছনে কেউ লাথি দিলেও এদের রাগ-গোষা কিছু হয় না।

আসুন, সমস্ত ভূমিপুত্র রাজবংশী /কামতাপুরীরা আগামী কাল থেকে কতিপয় উন্নাসিক চক্রান্তকারী মানুষের দ্বারা পরিচালিত এবং কতিপয় মানুষের আত্মার আত্মীয়কে ছুড়ে ফেলে দেই। বুঝিয়ে দেই, উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বোকা মাথামোটা ভাবা কতটা ভয়ংকর। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের দেশ যেমন চিনা এ্যাপ বন্ধ করে তাদের ভাতে মেরেছে, উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রকেও সেই উচিত শিক্ষা দিতে হবে। আপন জাতিসত্তার প্রতি সামান্যতম যদি ভালোবাসা থেকে থাকে, আগামীকাল “উত্তরবঙ্গ সংবাদ” পাপীষ্ঠের পাতা ছুয়েও দেখবেন না।অনলাইনে যারা এই সংবাদপত্রকে ফলো করেছেন, এখুনি আনফলো করুন।

#তবে খেয়াল তো রাখতে হবে, পাপীষ্ঠের চক্রান্তগুলো। তার জন্য কেউ, মাত্র একজন এই পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ডাউনলোড করে নিয়ে আমাদের যত গ্রুপ আছে সেখানে ছড়িয়ে দেবে। আমরা সকলে উত্তরবঙ্গ সংবাদের লীলাখেলা দেখতে পাবো, তাদের ষড়যন্ত্রের খেয়াল রাখতে পারবো।