কুচবিহারে ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনটিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটি ঘোষণা করার পরের দিনই অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর তুফানগঞ্জের চিলারায় গড়ে AKRSU (আক্রাসু) দ্বারা গত বছর নির্মিত বীর চিলারায়ের মূর্তিটিকে কিছু দুষ্কৃতী অজ্ঞাতসারে ভেঙে দিয়েছে। কি রহস্য বীর চিলারায় এর মূর্তি (Bir Chilaray Idol) ভাঙার পিছনে, মানুষ জানতে চায়।

এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ, আসাম সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতে কোচ রাজবংশী কামতাপুরী মানুষের মনে বিক্ষোভের সন্চার হয়েছে। অনেকে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইচ্ছা করেই চিলারায়ের বীরত্বকে অস্বীকার করছে যার দরুন স্বাধীনতার ৭০ বছর অতিক্রান্ত হলেও কলকাতা পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার বীর শুক্লধ্বজ কে মর্যাদার আসনে রাখেনি। বিগত বামফ্রন্ট সরকার তুফানগঞ্জে অবস্থিত চিলারায় এর গড়ে রিফিউজি কলোনি বসিয়ে চিলারায়ের স্মৃতিকে ধূলিস্বাদ করেছে।
বর্তমান রাজ্য সরকারও ঐ একি পথে এগোচ্ছে বলে অধিকাংশ কোচ রাজবংশী কামতাপুরী জনগণ ভাবছে। যার দরুন মূর্তি ভাঙার এই ঘটনা। এর আগেও কুচবিহারে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কুচবিহারে শুধু রাজা মহারাজাদের মূর্তি অথবা তাদের নির্মিত স্মৃতিসৌধের উপরেই আঘাত ঘটে অথচ কবিগুরু বা স্বামী বিবেকানন্দ বা নেতাজীর মূর্তির উপর দুষ্কৃতী জনিত কোনো আঘাত ঘটেনা।


বীর চিলারায়ের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে শুধু ক্ষোভই নয় কলিকাতা পরিচালিত রাজ্য সরকারের উপর বিতৃষ্ণা চলে এসেছে এবং তা দিন দিন আরো বেড়ে চলেছে।
বিগত বামফ্রন্ট সরকার মানুষের আবেগকে তোয়াক্কা না করে কামতাপুরী মানুষের উপর চরম আঘাত হেনেছিল। অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিল দলের ক্যাডার ও পুলিশের অত্যাচারে।
বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের আবেগকে, কোচ রাজবংশী কামতাপুরী ভাষা সংস্কৃতিকে যথেষ্ট প্রশ্রয় দিলেও এই ঘটনার পর কোথাও যেন একটা ফাটল রয়ে গেছে বলে মনে করছে অনেকে। কারন কুচবিহারে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের মূর্তি, জলপাইগুড়িতে তিস্তাবুড়ির মূর্তি ভাঙার পরেও দুষ্কৃতীরা অধরাই থেকে গেছে।
Read More
ঐতিহাসিক রাজসম্পদ বেদখল – তুফানগঞ্জ
বিশ্ব মহাবীর চিলা রায় ও কামতা সাম্রাজ্য।
চিলারায় গড়, স্মৃতি রোমন্থন ও কিছু তথ্য।
তুফানগঞ্জের মানষি এলাও নিন্দত আছে।
চিলা রায়ের জালধোয়া দুর্গ – Jaldhoa Fort of Chila Ray
Vir Chila Ray (Chilarai) – The Great Warrior
Related Posts
কামতা কুচবিহার রাজ্যের প্রথম রাজধানী চিকনা। Chikna, the first capital of independent Kamata Coochbehar.
কবিতার নাম “কালি মাখা জলোলোই মুখ” – কবি ক্ষিতীশ বর্মন
শিলিগুড়ির বুকত 40 কাঠার জমির মধ্যে অন্তত 10 কাঠা যদি কামতাপুরী কোচ রাজবংশী সামাজিক সংগঠনক দান করিলেন হয়।