#মানুষ ওরাই শুধু সময়ের ব্যবধানে রঙ বদলেছে#
যে কায়দায় বঙ্গবন্ধুরা চালানী বামফ্রন্ট রাজনীতি কে হাতিয়ার করে ভুমিপুত্রর উপর প্রশাসনিক ও সামাজিক- সাংস্কৃতিক নির্যাতন চালিয়েছিল। একই কায়দায় বিজেপিকে সাঙ্গ করে হাতিয়ারে শান দিচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গটা বাঙালির নিজের পৈত্রিক ভিটা মনে করে, সে এদেশী হোক আর ভিনদেশী হোক। কাজেই কামতাভুমি তথা কামতা ভাষাভাষী সহ বাংলা বাদে অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের ঘরে বাইরে লড়াই করা ছাড়া উপায় নেই।
কামতাভাষী মানুষেরা যারা চালানী রাজনীতিকে মদত দিয়ে চলছে তারা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করা ছাড়া কিছুই করছেনা। তারা যে সমাজে বাস করে, যে সমাজে নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে বৈবাহিক সম্বন্ধে আবদ্ধ করে সার্বিক সমাজের অগ্রগতি আশা করে। বাস্তবিক ভাবে সেই অগ্রগতির জন্য কোনো কাজ করছে না বরং সেই অগ্রগতিকে প্রতিপদে বাধা সৃষ্টি করছে। কলিকাতা পরিচালিত নেতা নেতৃর তাবেদারী স্ব গোষ্ঠীর বা সমাজের মানুষকে হেনস্থা করছে।
বিজেপির কাছে হিন্দু হল শেষ কথা। হিন্দুর মধ্যে বিভেদ, বর্ণভেদ, জাতিদাঙ্গা, এদের যায় আসেনা। কোচ রাজবংশী কামতাপুরীর কাছে হিন্দু মুসলিম বড় ব্যাপার নয়। বড় ব্যাপার হল নিজেদের ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার লড়াই বাংলা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। মাটির অধিকারের লড়াই ভিনদেশী মানুষের হাত থেকে যারা কলিকাতা পরিচালিত রাজনীতির সমান্তরালে চলতে ভালোবাসে, এককথায় সুযোগসন্ধানী।
বীর চিলারায়ের মূর্তির উপর আঘাত মানে শূধু কোচ রাজবংশী কামতাপুরীর মানুষের আবেগের উপর আঘাত। বঙ্গবন্ধুরা মজা নিচ্ছে এটাও মনে রাখবেন। রবি ঠাকুরের মূর্তি ভাঙলে অত সহমর্মিতা দেখানোর দরকার আছে কি? কারন যে যেরকম তার সাথে সেরকমই ব্যবহার করতে হয়।
Author: Krisna Kanta
View All User Posts |
View All Posts | আপনিও পোস্ট করুন | Advertise your Product or Service |