রায়সাহেব পন্চানন বর্মার ভালে কয়খান লেখার ভিতরা জগন্নাথী বিলাই হৈল্ এখান লেখা। রংপুর সাহিত্য পরিষদের পত্রিকাত প্রকাশিত হৈচিল ১৩১৭ সনে।
জগন্নাথী বিলাই
ভাটী রাজ্যত একটা গাঙো, নাঞো তার ধূরপা নন্দী। কাঞো কাঞো তাক ধুত্তানন্দী ও কয়। সেই গাঙো আছিল একটা ওন্দা বিলাই বিলাইটার বড়য় সুঠারু, বড় চাতুর। – ঢাকি থোয়া আনাজ খায়, আওতা মাছ শুক্টা খায়।ঝোকোত তােলা দই খায়। যেটে যেখান পায়, সেটে তাক খায় ; আর মুখ মুছি এমন সাটাম সুটুম হয়া থাকে যে, উয়াক দেখি মনে না হয় উঞায় খাইছে। বিলাইটা যুঝারুও কম নােঞায়। আর একটা বিলাইক মাছ শুক্টা খাবার দেখিলে তার সথে মহা কুরপাণ্ডো নাগায়া, বাড়ী হাতে খেদেয়া দেয়। ক্রমে ক্রমে বিলাইটার উবদারু বাড়িল। চেঙ্গরা গুলা টের পাইলে। ফান পাতি বিলাইটাক ধরিলে, মনের তাও মিটি ডাঙ্গাইলে, আধামরা করি তিন দিন উপাসে বান্ধি রাখিলে। তারপর দিন একখান শুক্টার মালা কৌতক করি বিলাইটার গালাত শক্ত করি পিন্ধি দিলে। বিলাই শুক্টা খাবার চায়, খাবার না পারে, পাঞো দি ছিড়ি ফেলেবার চায়, ছিড়ি ফেলেবারও না পারে। বিলাইর তামসা দেখি চেঙ্গরালা মাটিত পড়ি পড়ি হাসে। পাছত বিলাইটাক একটা ছালাত ডুবেয়া দুইজন চেঙরায় উবিয়া বহুদূর নিগাইল। একটি অজানা জাগাত্ বিলাইটাক ছাড়ি দিয়া বাড়ী ফিরি গেইল।
বিলাই বড় অনদিশাত পৈল। বেদেশ বেভুঞি; কোন্টে কি, কেছুই নাজানে। চৌদিনিয়া উপাসী শরীল; পেটের ভেক মাখাত উটিচে;গাওত ও নাই বল। কি করে? কোটে যায়? চাইরোদি ধানবাড়ী, মাঝে মাঝে এন্দুরের খাল। কিন্তু একে শরীল দুবলিয়া ; তাতে গালাত শুক্টার মালা। ধান বাড়ীর ভিতর দি যায় কেমন করি? -অইলের গোরে গোরেও এন্দুরের খাল আছে ; আইল দিয়া যাওয়াও ভাল ; ভাবিচিন্তি বিলাই আইল ধরি যাবার ধরিল । বিলাইক দেখি এন্দুর পালেবার লাগিল। বিলাই কিন্তু আর কারো দিগে ফিরি না চায় ; হেট মুকে হরিনাম জপিতে জপিতে ধীরে ধীরে যায়। একটা এন্দুরের বাচ্চা মুকের আগত পৈল….
আরো পড়ির চাইলে বই ডাউনলোড করো..
Download Book (pdf file Password: Aboriginalblog)
# jagannathi bilai # panchanan barma # rangpur sahitya parishad