কামতাবাসীর মুক্তির পথ আর বাংলা রাজনীতি।

Way of freedom of Kamtapuri people and Bengal politics.

হামরা কোচরাজবংশী কামতাপুরী মানষিলা কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, টিএমসি নিয়া মাতামাতি করি, নেতা হৈ, জেলা সম্পাদক হৈ, সভাপতি হৈ কলিকাতা শাসকের বদান্যতায় – কত পাওয়ার, কত সন্মান হামার!! হামার এটিকার লোকাল kpp, gcpa, নেতালাক আর উমার সমর্থনকারীলাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কৈ, উমারে সাথত ষড়যন্ত্র করি কলিকাতার আদেশে, প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনক সাহায্য করি যাতে উমরা জেলত ঢোকে, জীবন নিয়াও ছিনিমিনি খেলি।

1947 এর পর থাকে যদি খানেক বিশ্লেষণ করি তালে ব্যাপারটা এই নাকান – 


1. কলিকাতা কংগ্রেস, ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে দিল্লীর সাহায্য নিয়া কোচবিহার রাজাক বিতারিত করছিল। – সফল হৈচে আর এই কাজত সাথত নিচিল উপেন বর্মনের মতন জোতদার মানষিলাক। আর বাংলাদেশ থাকে চলি আইসা কিছু অর্ধশিক্ষিত ও নয়াজাগাত আধিপত্য বিস্তার করার জন্যে ক্ষমতালোভী কোচরাজবংশী মানষিলাক।  

2. রাজতন্ত্র তো এমনেও থাকিল্ না হয় কিন্তুক কলিকাতা জানে রাজা বা রাজসভার মানষিলা হৈল পথের কাটা ঐজন্যে ভয়ভীতি দ্যাখে বেশীরভাগকে কোচবিহার ছাড়া করাইচে, যায় খানেক স্বাধীনচেতা ছিল, কোচবিহারক নিয়া আলদা গনতান্ত্রিক রাজ্যের কথা চিন্তা করছিল। রাজাক বিতারিত করার পর কলিকাতা কংগ্রেস সাথত নিচিল গ্রামের কিছু অর্ধশিক্ষিত ছোট জোতদার টাইপের মানষিলাক আর ল্যান্ড রিফর্ম করি বড় জোতদারলাক সাইড করছিল। – সফল হৈচে।

কলিকাতার নেতা মানষিলার হাত ধরি কার জন্যে রাজনীতি করিছেন? নিজের জন্যে না নিজের মানষিলার জন্যে? নিজের মাটির ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতির জন্যে না কলিকাতার ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতির জন্যে – এইলা মাথাত কোনোদিনও কি ঢোকে নাই, কোনোদিন চিন্তাত আইসে নাই? ভাষা না থাকিলে কোনোদিন সংস্কৃতি কৃষ্টি বাঁচে? ভাওয়াইয়া গান বাংলা ভাষাত শোনেন তো কেমন নাগে শুনির। সরকারী চাকরীর লোভে কলিকাতা রাজনীতি বা সরকারী পদের লোভে কলিকাতা রাজনীতি – সৌগ ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি। এই স্বার্থ সিদ্ধি হয়ত 100 জনের মধ্যে 4 জনের হৈবে কলিকাতার বদান্যতায়, কিন্তুক এই 4 জনের জন্যে বাকী 96 জন বানের জলত ভাসিবে – আর ঠিক এই জিনিসটায় হৈচে 1947 সাল হাতে। 


3. তারপর আসিল কলিকাতা শাসিত বাম সরকার।ইমরা গ্রামের রাজবংশী গরীব অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত হালুয়ালা মানষিলাক সাথত নিয়া আর বাংলাদেশ থাকি আগত মানষিলাক সাথত নিয়া ছোট জোতদারগুলার জমি কাড়ি নিচিল। – সফল হৈচে। 


ধীরে ধীরে গোটায় কোচ রাজবংশী কামতা সমাজক আর্থিক, সামাজিক আরো সাংস্কৃতিক ভাবে দুর্বল করি দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ করাই ছিল কলিকাতা শাসকের টার্গেট। কারন উমরা ভাল করি জানে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরি থুবার গেইলে কোচ রাজবংশী কামতাপুরী মানষিলাক সৌগ দিক হাতে দূর্বল করো, কাটা দিয়া কাটা তোলার ব্যবস্থা করো। আগত ভিখারী বানাও তারপর কিছু ভিখারীক টুকরা রুটির লোভ দ্যাখে যায় বেশী তেরিবেরি করিবে তাক থ্যাকবে থোন উমারে মানষি দিয়া। আজি পর্যন্ত এই কাজত কলিকাতা প্রশাসন চরম সাফল্য লাভ করিচে। এলাও ঐ পন্থা অবলম্বন করি আছে। নাহৈলে রায়সাহেব পন্চানন বর্মার আদর্শে বড় হওয়া মানষি তৃণমূলের আদর্শে রন্জিত হয়া এটা কবার পায় যে হামরা বাংলা ভাগ চাইনা। মানষিক ভাবে দৃঢ় ও শিক্ষিত কোচ রাজবংশী তথা কামতাপুরী সংস্কৃতিত বড় হওয়া মানষি কোনোদিন নিজেকে বাঙালি কবার পাইবেনা অন্তত নিজের পূর্বপুরুষের মুখের ভাষা, আচার আচরন, পোশাক আশাক, খাদ্যাভ্যাস এইসৌগ দেখি। এইলা দেখিয়াও যায় নিজেকে বাঙালী কৈবে তার মতন ভন্ড ও ধান্দাবাজ আর নাই এই দুনিয়াত এটা অন্তত পরিস্কার। পড়াশুনার মাধ্যম ইংরাজী হৈলে কাংও যেমন ব্রিটিশ হয়না তেমনি বই পড়ার মাধ্যম বাংলা হৈলেই সে বাঙালী হয় না। হিন্দী মাধ্যমে বই পড়া ঝাড়খন্ডের বাঙালীলা কি নিজেকে বিহারী বা ঝাড়খন্ডী কয়?? 


হামার নিন এলাও না ভাঙে। খালি বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম তথা কলিকাতার শাসকক নিয়া মাতামাতি করি। এদি কেপিপি, জিসিপিএ নেতালাকো আইজকাল দেখা যায় ইমরাও ঐ সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল নিয়া মাতে নিজের প্যাট চালের বাদে। অতই যদি উমাক নিয়া মাতির চান তালে ডাইরেক্ট ঐটায় করো। তোমারলার নিজের ভিতরায় মিল নাই, সগায় জাতি মাটির রাজনীতি করেন নিজের নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে, জাতি মাটির স্বার্থে নোমায়- শিক্ষিত মানষি যা বোঝার বুঝি গেইচে। আর গেরামের অশিক্ষিত মানষিলাক নিয়া বেশী দিন আর এই ধান্ধা চলিবেনা ফেসবুকের যুগত। এলায় যদি না শুধরান তালে নিজের কবর নিজে খোরো চালানী বড় পার্টির ছত্রছায়াত। উমার কিছুই হৈবেনা, খালি ব্যবহার করিবে। আর যতদিন যাইবে সেলা পুছিবেও না কারন তোমার পাছিলাত যে মানষিলা ছিল উমরা আর তোমার পাছিলাত নাই সেটা চালানী পার্টিলা বুঝি যাইবে।


মুক্তির সম্ভাব্য উপায়? 

মুই না জানং মুক্তির উপায়। তবে কিছু গঠনমূলক কথা কবারে পাং। সগায় (3, 4 মাথা) আগত একজোট হন বৃহৎ স্বার্থে। সামাজিক কাজ করো। সাথত গেরামের মানষিক সচেতন করো। অরাজবংশী মানষিলাকো বুঝান মাটির ইতিহাস, মাটির বন্চনার কথা। শিক্ষিত মানষিলাও দেখিবেন আগে আসিবে তোমাক সাহায্য করির। সৌগ সম্ভব। Be honest, Nothing is impossible. সেলা কলিকাতা, দিল্লীত যাবার নাগিবে না উমরায় তোমার পাছিলাত ঘুরঘুর করিবে। কোচ রাজবংশী কামতাপুরী সৌগ একটে আইসো। কোনোটাই ফ্যালনা নাহয়। বস্তুত ক্ষুদ্র কণা ভাইরাসও ফ্যালনা নাহয় আশাকরি 2 – 3 বছরের অভিজ্ঞতাত হামরা সগায় বুঝি গেচি। 

কলিকাতা আর শিলিগুড়ি তথা কামতাপুরের বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রলার ঠ্যাকা পরে নাই কামতার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলি ধরির বাংলা ভাষাত। কোচবিহারের রাজবাড়ির সম্পদ লুঠের যে খবর কয়দিন আগত দিচিল ওটা তো 20 বছর আগতো দিবার পাইল হয়। এলা দিচে ক্যা? কারন উমরা জানে ফেসবুক আর ডিজিটাল যুগত ব্যবসা টিকির গেইলে বাছবিচার করা যাইবে না বা করিলেও হিসাব করি করা খাইবে।
©️VSarkar 

2 thoughts on “কামতাবাসীর মুক্তির পথ আর বাংলা রাজনীতি।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.