আলিপুরদুয়ার সুকান্ত হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান (Alipurduar Sukanta High School – Subarna Jayanti Program) হতে চলেছে কিছুদিন পরেই। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অনেকেই আমন্ত্রিত হয়েছেন সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান কে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য। প্রধান শিক্ষক শ্রী তরুন কুমার সাহা ও পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রী বিজন সরকার এই সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানকে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য যথাযথ চেষ্টা করছেন।

তবে আশ্চর্য্য ও আক্ষেপের বিষয় এটাই যে অনুষ্ঠানের অতিথি হিসাবে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহাশয় ও রেজিস্ট্রার মহাশয়ের স্থান হয় নি, স্থান পাইনি আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আমরা যদি আমন্ত্রণ পত্র লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে স্কুলের অনুষ্ঠানে কোচ রাজবংশী কামতাপুরী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গকে এক অদৃশ্য কারনবশত বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় অনুষ্ঠানসূচীতে উত্তরের বিখ্যাত সঙ্গীত ভাওয়াইয়াও বাদ পরে গেছে আলিপুরদুয়ার সুকান্ত হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। সোসাল মিডিয়াতে এই খবর পাওয়ার পর অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করেছেন।

সবাই এই ব্যাপারে মর্মাহত। বিদ্যালয়ের দেওয়ালে বিভিন্ন মনিষীদের যে ছবি আঁকা হয় সেখানেও কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের মনিষী রায়সাহেব পন্চানন বর্মা বা বীর যোদ্ধা চিলারায় বাদ পরে গেছে। প্রধান শিক্ষকের জাতি বিদ্বেষী মনোভাব সুস্পষ্ট যা অনেকেই ব্যক্ত করেছেন। পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রী বিজন সরকার সম্পর্কেও অনেকে বলেছেন যে ইনি নাকি অতীতে এরকমও মন্তব্য করেছেন যে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমস্ত রাজবংশীকে বের করে দেওয়া হবে। রাজবংশী অধ্যাপক ডঃ বাটুরাম সরকার আর ওনার মধ্যে একটা লড়াই হয়েছিল। তবে তা যাচাই সাপেক্ষ।
যাই হোক আমন্ত্রণ পত্র ও অনুষ্ঠানসূচী দেখে আপাত দৃষ্টিতে ঐটাই বোধগম্য হচ্ছে যে কোচ রাজবংশী কামতাপুরী মনোভাব সুস্পষ্ট।কোচরাজবংশী অধ্যূষিত আলিপুরদুয়ার এর মত জায়গায় যেখানে স্কুলের বেশীরভাগ ছাত্র ছাত্রী কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের সেখানে ভাওয়াইয়া সহ অন্যান্য যেসকল কামতাপুরী নৃত্য রয়েছে তাও স্থান পাইনি সুকান্ত হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় কোচ রাজবংশী নেতা নেতৃ থেকে শুরু করে সমাজসেবী, বিশিষ্ট শিক্ষক, আইনজীবী কেউই জায়গা পাইনি এই অনুষ্ঠানে।
আলিপুরদুয়ার এর তৃণমূল নেতা শ্রী ভাস্কর মজুমদার তার ভিডিও বার্তায় যা বললেন তাতে তিনি মর্মাহত। উনি বললেন যে যেখানে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় সুকান্ত হাইস্কুল থেকে 500 মিটারেরও বেশী দূরত্বে নয় সেখানে উপাচার্য ডঃ মহেন্দ্র নাথ রায়, রেজিস্ট্রার ডঃ জয়দেব রায় মহাশয় আমন্ত্রণ পাননি। এমনকি শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত DPSC এর চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন মহাশয়কেও স্কুল কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রন দেননি।
Related Posts
পুষুনা সাংনান্তি / পৌষ সংক্রান্তি / মকর সংক্রান্তি ও ভোগালী বিহু। Pushuna Sangnanti / Poush Sangkranti / Makar Sangkranti / Bhogali Bihu
Murder of Kamtapuri Koch Rajbanshi Jotdars, leaders, social workers and common people.
কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ এর পন্ডিতসভা ও সাহিত্যকীর্তি। Maharaja Harendranarayan.